Academy

মি. 'খ' এর নিকট ৮০ লক্ষ টাকা আছে। তিনি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে ঢাকায় একটি প্লট কিনেন। ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি দোকান, ক্রয় করেন। দোকানে বিক্রয়ের জন্য ৫ লক্ষ টাকার দ্রব্যসামগ্রী কিনেন। ১০ লক্ষ টাকায় গ্রামে একটি লিচু বাগান কিনেন এবং বাগানের চারাগাছ বাবদ আরো ১ লক্ষ টাকা ব্যয় করেন। বাকি টাকা মজুরি ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ নিজের কাছে রেখে দেন। 

Created: 7 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago
Ans :

মূলধন হলো মানুষের উৎপাদিত সম্পদের সেই অংশ যা পুনরায় - অধিকতর উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত হয়।

6 months ago

অর্থনীতি

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

1 স্থায়ী মূলধন কী? (জ্ঞানমূলক)

Created: 7 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago

যেসব মূলধন উৎপাদন কাজে বারবার ব্যবহার করা হলেও এদের কোনো ক্ষতি বা পরিবর্তন হয় না, তাকে স্থায়ী মূলধন বলা হয়।

মূলধন হলো মানুষ কর্তৃক উৎপাদিত উৎপাদনের একমাত্র উপকরণ, যা উৎপাদন বা আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
মানুষের শ্রমে উৎপন্ন সম্পদের যে অংশ সরাসরি ভোগের জন্য ব্যবহৃত না হয়ে পুনরায় অধিকতর উৎপাদনের কাজে লাগে তাই হলো মূলধন। এ অর্থে কারখানা, যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, গুদামঘর ইত্যাদি হলো মূলধন। কারণ এগুলো মনুষ্যসৃষ্ট এবং এগুলো সরাসরি ভোগ করা যায় না; তবে মানুষ তার বুদ্ধি খাটিয়ে ও পরিশ্রম করে এগুলোকে অধিক উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করতে পারে। প্রকৃতি প্রদত্ত সম্পদ মূলধন নয়; এটি তখনই মূলধনে রূপান্তরিত হবে যখন মানুষ চেষ্টা ও পরিশ্রম দ্বারা তাকে অধিক উৎপাদনের উপযোগী করে তুলবে।

উদ্দীপকে উল্লিখিত তপনের পক্ষে তৃতীয় বছরের কাঙ্ক্ষিত মূলধন জোগাড় করা সম্ভব হবে, যদি সে তার সঞ্চয়পত্রের অর্থ ব্যবসায় বিনিয়োগ করে।
একজন সংগঠক তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য বিভিন্ন উৎস হতে তার কাঙ্ক্ষিত মূলধন সংগ্রহ করতে পারে। এ উৎসগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ব্যক্তিগত সঞ্চয়, নিট মূলধন আয়, ব্যাংক ঋণ ইত্যাদি। যেমন ব্যক্তিগতভাবে সঞ্চিত অর্থকে বিনিয়োগের মাধ্যমে মূলধনী দ্রব্যে রূপান্তর করা যায়।
উদ্দীপকে লক্ষ করা যায়, তপন ছাত্রজীবনে সঞ্চিত ৩ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কেনে এবং ২ লাখ টাকা দিয়ে হাঁস ও ভেড়ার খামার শুরু করে। ব্যবসা ভালো হওয়ায় সে তৃতীয় বছরে তার খামারের মূলধন ১৫ লাখ টাকায় উন্নীত করতে চায়। এক্ষেত্রে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় বছর নিট মূলধন আয় হয় ৯ লাখ টাকা এবং ব্যাংক ঋণ পায় ৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ তার মোট মূলধনের পরিমাণ দাঁড়ায় (৯+৫) বা ১৪ লাখ টাকা। তাই কাঙ্ক্ষিত মূলধন ১৫ লাখ টাকার জন্য প্রয়োজন আরো ১ লাখ টাকা। যা সে তার সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গিয়ে সংগ্রহ করতে পারে। উল্লেখ্য, তপনের ১ম বছরে ১ লাখ এবং ২য় বছরে ২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। কাজেই বলা যায়, উদ্দীপকের তথ্য অনুযায়ী তপন তৃতীয় বছরে তার কাঙ্ক্ষিত মূলধন জোগাড় করতে পারবে।

উদ্দীপকে উল্লিখিত সহায়তাসমূহ বলতে প্রশিক্ষণ প্রদান, জাতীয় সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক ঋণকে বোঝানো হয়েছে, যা মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি তথা মূলধন গঠন নির্ভর করে বিনিয়োগের পরিবেশ ও পর্যাপ্ত অর্থ সংগ্রহের সুযোগের ওপর। আবার, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মানবশক্তি উৎপাদন বৃদ্ধিতে অধিক ভূমিকা রাখে। এর ফলে বিনিয়োগকারী অধিক বিনিয়োগে আগ্রহী হয়। বাংলাদেশে অনেক যুবক আছে যারা উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে চায় কিন্তু যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবে সেভাবে পারে না। সেক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারলে তাদের কাজগুলো আরও ফলপ্রসূ হবে। ফলে মূলধন গঠন বৃদ্ধি পাবে।
উদ্দীপকে দেখা যায়, তপন লেখাপড়া শেষে যুব উন্নয়ন কেন্দ্র হতে প্রশিক্ষণ নিয়ে হাঁস ও ভেড়া পালনের একটি খামার শুরু করে। সে যেহেতু শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত, সেহেতু সে তার ব্যবসায় উত্তরোত্তর উন্নতি লাভ করে। অর্থাৎ, প্রতি বছর তার ব্যবসায় নিট মূলধন আয় বৃদ্ধি পায়। ফলশ্রুতিতে তার ব্যবসায় মোট মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, তপন ১ম ও ২য় বছর যথাক্রমে ১ লাখ ও ২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ক্রয় করে। যা ভাঙ্গিয়ে সে নির্দিষ্ট হারে সুদ পায়। এর ফলেও তার মূলধন বাড়ে। তাছাড়া, ব্যাংক ঋণও তপনের মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। উদ্দীপকে তপন তৃতীয় বছর তার ব্যবসার মূলধন ১৫ লাখ টাকায় উন্নীত করতে চায়। যার ৫ লাখ টাকা সে ব্যাংক ঋণ হিসেবে পেয়েছে।
পরিশেষে বলা যায়, উপরের উল্লিখিত সহায়তাগুলো তপনের মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।

5 স্থায়ী মূলধন কী? (জ্ঞানমূলক)

Created: 7 months ago | Updated: 3 months ago
Updated: 3 months ago

যেসব মূলধন উৎপাদন কাজে বারবার ব্যবহার করা হলেও এদের কোনো ক্ষতি বা পরিবর্তন হয় না তাকে স্থায়ী মূলধন বলা হয়।

অর্থ মূলধন হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে।
অর্থ হচ্ছে বিনিময়ের মাধ্যম, সঞ্চয়ের বাহন ও মূল্যের পরিমাপক। অন্যদিকে, মূলধন হচ্ছে উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান, যা পুনরায় উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হয়। সুতরাং, উৎপাদনের যেকোনো উপাদান, যা উৎপাদনে অবদান রাখে তা-ই মূলধন। সেই অর্থে, অর্থ যদি উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় তবে তাকে মূলধন বলা যায়। এছাড়া উৎপাদনকে গতিশীল রাখতে অর্থের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অর্থ সরাসরি ভূমিকা রাখছে। তাই অর্থ এখানে মূলধন। ব্যবহারগত তারতম্যের কারণে এ অর্থকে আবার আমরা মূলধন বলতে পারি না। যে অর্থ সঞ্চয় করে রাখা হয় অথবা ভোগের জন্য ব্যয় করা হয়, সেই অর্থ মূলধন নয়। অতএব, অর্থ যদি মুনাফা অর্জনে বিনিয়োগ করা হয় তবে তা মূলধন হিসেবে গণ্য হবে।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...